পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, খাগড়াছড়ি এর আয়োজনে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর উদ্যানতাত্তি¡ক ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ এবং চর এলাকায় উদ্যান ও মাঠ ফসলের প্রযুক্তি বিস্তার শীর্ষক প্রকল্পের অর্থায়নে ̏Dissemination of Promising Horticultural Technologies of BARI : Varieties and Agro-techniques˝ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র প্রাঙ্গনে ০৭ফেব্রæয়ারি২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, খাগড়াছড়ির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুন্সী রাশীদ আহ্মদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রঙ্গিামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ পবন কুমার চাকমা এবং উদ্যানতাত্তি¡ক ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ এবং চর এলাকায় উদ্যান ও মাঠ ফসলের প্রযুক্তি বিস্তার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ আবু তাহের মাসুদ।
খাগড়াছড়ি পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ আল মালেকের সঞ্চালনায় প্রকল্পের কার্যক্রম এবং কর্মপন্থা উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ আবু তাহের মাসুদ। কর্মশালার টেকনিক্যাল পর্বে ড. মুন্সী রাশীদ আহ্মদ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত পাহাড়ী অঞ্চলের উপযোগী ফসলের জাত ও কৃষি প্রযুক্তি সমূহ বিস্তারিতভাবে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন। এ সময় তিনি বলেন পার্বত্য অঞ্চলে পতিত পাহাড়ে পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন উদ্যানতাত্তি¡ক ফসলের বানিজ্যিক বাগান করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সে লক্ষে নতুন নতুন জাত ও কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে তা এলাকার কৃষকদের মাঝে সম্প্রসারণ করছে। এ ধারা অব্যাহত এবং কার্যকর রাখা গেলে অদুর ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের উৎপাদিত ফল ফসল দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা অর্জণ সম্ভব হবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ পবন কুমার চাকমা বলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তিসমূহ সারা দেশে কৃষির সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বাবি উদ্ভাবিত বিভিন্ন উদ্যানতাত্তি¡ক ফসল বিশেষ করে ফলের জাত পার্বত্য এলাকায় কৃষির চিত্র আমুল বদলে দিয়েছে। বারি উদ্ভাবিত অধুনিক জাতের আম, মাল্টা, ড্রাগনফল, লিচু ইত্যাদি চাষ করে তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকরাও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন পার্বত্য অঞ্চলের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কৃষি ক্ষেত্রে বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার নানামূখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করায় একসময়ের অনাবাদি পতিত পহাড়ের দূর্গম এলাকাতেও এখন কোননা কোন ফসল চাষ হছে এবং কৃষকদের জীবন যাত্রার মান উন্নততর হচ্ছে। এক সময় উত্তর বঙ্গের আম না আসলে এ এলাকার মানুষ আমের স্বাদ পেতো না। কিন্ত এখন এ এলাকার আম সারা দেশের চাহিদা মেটাচ্ছে। এটা সম্ভব হয়েছে সঠিক ফসলের সঠিক জাত প্রকৃত কৃষকদের দোরগোড়ায় পৈাছে দেওয়ার কারনে। তিনি পার্বত্য অঞ্চলের কৃষির এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানান। কর্মশালায় বারি, বিএসআরআই, এআইএস, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, ডিএই ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট মতামত ব্যক্ত করেন। তাছাড়া কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কৃষিবিদগণ, কৃষক/কৃষাণী ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।